"আমার হার্ট অনেক দুর্বল। মাঝে মধ্যেই আমার হার্টবিট অনেক বেড়ে যায়। মানে বুকে ধড়ফড় শুরু হয় আরকি। মনে হয় নিজের উপর আর কোন নিয়ন্ত্রণ নাই, মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। সারা শরীর কাঁপতে থাকে। প্রচুর ঘাম হয়। বুকের ভেতর কেমন যেন লাগে। দম বন্ধ হয়ে যায়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, মনে হয় এখনি মরে যাবো। হার্টের অনেক ভালো ভালো ডাক্তার দেখিয়েছি। কেউ কিছু ধরতে পারে নাই। মানসিক রোগের এখানে কেন যে পাঠালো আমি তো বুঝতে পারছিনা। আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছে নাকি?"
আপনি যদি এই ধরনের লক্ষণ নিয়ে সাইকিয়াট্রি ডিপার্টমেন্টে রেফার হয়ে আসেন তাহলে আপনার মনে এই প্রশ্ন জাগাই স্বাভাবিক। শুধু আপনিই নন এই সমস্যার বেশীরভাগ ক্লায়েন্টই কার্ডিয়াক ডিপার্টমেন্ট থেকে, অনেকেই এই প্রচুর টেস্ট করান, এক ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের কাছে ঘুরে বেড়ান। কারণ হার্টবিট এতো তীব্রভাবে বেড়ে যাওয়াকে অনেকেই ভয় পেয়ে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বলে মনে করেন। ডাক্তার যখন বলেন, " আপনার হার্ট সুস্থ আছে, কিছু হয়নি, তখন ক্লায়েন্ট মনে করেন ডাক্তার তার রোগ ধরতে পারেনি। আসলে আপনি যে লক্ষণগুলোকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বলে ভাবছেন তা প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ। আর প্যানিক অ্যাটাক যদি অপ্রত্যাশিতভাবে হয় কোনরকম কারণ ছাড়াই এবং ব্যাক্তির ভিতরে যদি অতিরিক্ত ভয় তৈরি হয় আবার এই রকম অ্যাটাকের মুখোমুখি হবার, যার ফলে ব্যাক্তির স্বাভাবিক জীবনযাপন হুমকীর সম্মুখীন হয় তাকে প্যানিক ডিসঅর্ডার বলে। প্যানিক ডিসঅর্ডার একটি মানসিক রোগ। সে কারণেই আপনাকে সাইকিয়াট্রি ডিপার্টমেন্টে রেফার করা হয়েছে। আর সাইকিয়াট্রি ডিপার্টমেন্টে আসা মানেই পাগল হয়ে যাওয়া নয়। মন ও মস্তিস্কের অধিকারী হলে মানসিক বিভাগে কখনো কখনো ঢুঁ মারাটা স্বাভাবিক।
কি? নিজেকে বোকার মতো মনে হচ্ছে? ভুল কিন্তু আপনার নয়। অনেক সময় ডাক্তারদেরও সময় লাগে লক্ষণগুলো শারীরিক না মানসিক বোঝার জন্য। সুতরাং আপনি বিভ্রান্ত হতেই পারেন। কিন্তু লক্ষণগুলো যে মানসিক হতে পারে যখন আপনি স্বীকার করে নেবেন তখনই আপনার সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
প্যানিক ডিসঅর্ডারে অনেক সময়ে ব্যাক্তি প্যানিক অ্যাটাকের ভয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়া কমিয়ে দেয় বা মানুষজনের ভীড় এড়িয়ে চলে, একে বলা হয় প্যানিক ডিসঅর্ডার উইথ অ্যাগোরাফোবিয়া। এই মানসিক রোগটি সাইকোথেরাপীতে অনেক ভালো কাজ করে। প্যানিক ডিসঅর্ডারে প্রফেশনাল হেল্প পাওয়ার সুযোগ না থাকলে আমরা নিজেরা নিজেরা কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে পারি তা আগামী লেখায় পড়বো!
এই পোস্টটি খুবই মূল্যবান । এখানে যে লক্ষন গুলো দেয়া হয়েছে এর সবগুলই আমার মাঝে আছে, উল্লেখ্য আমার বয়স ২১, আমি এখনো এই রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাইনি , আমার প্রশ্ন হল এই রোগের জন্য আমি হার্ট বিশেষজ্ঞ কে দেখাব নাকি কোন মানসিক বিশেষজ্ঞ কে দেখাব ।
উত্তরমুছুনআরিফ যদি আপনার কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে তবে এই রকম লক্ষণ মানসিক কারোনে হতে পারে। আপনি কোন সাইকিয়াট্রি ডিপার্ট্মেন্টে দেখিয়ে সমস্যার ধরন বুঝে নিতে পারেন। ডাক্তার যদি বলে শাড়িরিক সমস্যা নেই তাহলে সাইকোথেরাপী বা কাউন্সেলিং করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
মুছুনমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমম
উত্তরমুছুনমমমমমমমমমমমমম
আমার নাম মামুন, বয়স 42। চাকরতে ডোকার পর থেকে আমার বুক ব্যাথ্যা শুরু। বুকে চিন চিন ব্যাথা হয় এবং বুকে জোর পাই না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন টেস্ট (ইকো,এসিজিি,ইটিটি সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল, কোন কিছুই ধরা পড়ে নাই বিধায় সাইকোস্টিকের পরামর্শে পেইস-1, সারট্রালিন-100(সেরোলাক্স, কোফ্রানিল-25, অমিট্রপাইলিন,(বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ঔষধ), ভিটামিনসসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করছি। কিন্তু কাংগিত ফল পাই নাই। অফিসে আসলে ব্যাথ্যা শুরু হয় বা চাপের মধ্যে থাকলে ব্যাথ্যা বেড়ে যায়।
উত্তরমুছুনকোন সাজেস্ট থাকলে অন্য কোন ধরণের ঔষধের প্রয়োজন আছে কিনা জানালে কিতার্থ হব।